মঙ্গলবার, ৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৯:৪৯

শিরোনাম :
মোটরসাইকেল প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা, আহত-২ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া কে এই জাকির হোসেন প্রচার-প্রচারণায় ভোটারদের মন জয় করছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম যারা আমার জন্য কাজ করেছে আমি তাদের রেখে কখনো পালিয়ে যাইনি-এসএম জাকির হোসেন রেমিটেন্স আহরণে রূপালী ব্যাংকের ২ দিন ব্যাপী ক্যাম্পেইন সম্পন্ন সদর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা বরিশালের দুই উপজেলায় বৈধতা পেলেন ২৫ প্রার্থী ঝালকাঠিতে বেপরোয়া ট্রাক কেড়ে নিল ১৪ প্রাণ বরিশাল সদরে ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাদিস মীরের মনোনয়ন দাখিল বরিশালে তীব্র গরমে নাভিশ্বাস জনজীবন,বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ!
বরিশাল জিলা স্কুল প্রাঙ্গণেই সম্পন্ন হলো বাংলাদেশ সরকারের সবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুর রহমান বিশ্বাসের প্রথম জানার নামাজ

বরিশাল জিলা স্কুল প্রাঙ্গণেই সম্পন্ন হলো বাংলাদেশ সরকারের সবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুর রহমান বিশ্বাসের প্রথম জানার নামাজ

dynamic-sidebar

প্রিয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বরিশাল জিলা স্কুল প্রাঙ্গণেই সম্পন্ন হলো গণপ্রজাতন্ত্রিক বাংলাদেশ সরকারের সবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুর রহমান বিশ্বাসের প্রথম জানার নামাজ। সকাল ১১টায় বরিশাল এই জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে ঢাকে থেকে হেলিকাপ্টারযোগে তার মরাদেহ আনা হয় তার জন্মভূমি বরিশালে। আব্দুর রহমান বিশ্বাসের লাশ বরিশালে আনা হবে এমন খবর ছড়িয়ে পরার পরপরই মানুষ তাকে একনজর দেখার জন্য ভীর জমায় জিলা স্কুল মাঠে। মরদেহ জিলা স্কুলে আনার পরে অশ্রুশিক্ত বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ার ও মহানগর আওয়ামলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ অন্যদের সাথে কাদে নেয় বরিশালের এই কৃতি সন্তানের খাটিয়া। দল-মত নির্বিশেষে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় প্রশাসন সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। তার জানাযার নামাজে রাজনৈতিক নেতৃবন্দ,সাংবাদিক,প্রশাসনের উর্দ্বতন কর্মকর্তারাসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেয়।
পরে তার মৃতদেহ নগরের গোরাচাঁদ দাস রোডের বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। কিছুক্ষণ বাসায় রেখে আবার বিমানবন্দরে নেওয়া হয়। সেখান থেকে বেলা ১২টা ৪০ মিনিটে মরদেহ হেলিকপ্টার করে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা হন স্বজনরা।

১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার গঠন করলে ওই সংসদ আবদুর রহমান বিশ্বাসকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করে।

বরিশাল জেলার শায়েস্তাবাদে ১৯২৬ সালে ১ সেপ্টেম্বর আবদুর রহমান বিশ্বাসের জন্ম। বরিশাল শহরেই তিনি স্কুল ও কলেজজীবন শেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং সেখান থেকে ইতিহাসে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। আবদুর রহমান বিশ্বাস ১৯৫০-এর দশকে আইন পেশায় যোগদান করেন। তিনি ১৯৬২ এবং ১৯৬৫ সালে পূর্ব পাকিস্তান আইনসভার সদস্য নির্বাচিত হন।
সাবেক এই রাষ্ট্রপতি ১৯৬৫ থেকে ১৯৬৯ পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তানের সংসদীয় সচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৭ সালে তিনি পাকিস্তান প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে জাতিসংঘের ২২তম অধিবেশনে যোগদান করেন। মুক্তিযুদ্ধকালে তিনি স্বাধীনতার বিরোধী ছিলেন। তাঁর আনুগত্য ছিল পাকিস্তান সরকারের প্রতি। তিনি ১৯৭৪ এবং ১৯৭৬ সালে দুবার বরিশাল বার সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন।

১৯৭৭ সালে তিনি বরিশাল পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৭৯ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বরিশাল থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৯-৮০ সালে তিনি জিয়াউর রহমানের মন্ত্রিসভায় পাটমন্ত্রী এবং ১৯৮১-৮২ সালে বিচারপতি আবদুস সাত্তারের মন্ত্রিসভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন। রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পূর্বে আবদুর রহমান বিশ্বাস ১৯৯১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ৪ এপ্রিল ১৯৯১ তিনি জাতীয় সংসদের স্পিকার নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯১ সালে তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন এবং ১৯৯৬ সালের ৮ অক্টোবর তাঁর মেয়াদ শেষ হয়।

 

আমাদের ফেসবুক পাতা

© All rights reserved © 2018 DailykhoborBarisal24.com

Desing & Developed BY EngineerBD.Net